কার্বন বিজারণ পদ্ধতি কি ? কোন কোন ধাতুগুলিকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতি দ্বারা নিষ্কাশন করা যায় ? কার্বন বিজারন পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা
কার্বন বিজারণ পদ্ধতি কি ?
উত্তরঃ বিশেষ রকমের চুল্লিতে (মারুৎ চুল্লি বা ব্লাস্ট ফার্নেস) ধাতুর আকরিকের তাপ জারণের ফলে উৎপন্ন ধাতব অক্সাইডকে উচ্চ উষ্ণতায় কোক (C ) দ্বারা বিজারিত করে ধাতুতে পরিণত করার পদ্ধতিকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতি বলা হয় ।
কার্বন বিজারন পদ্ধতিতে কোন কোন ধাতু নিষ্কাশন করা হয় ?
উত্তরঃ Zn (জিঙ্ক) ,Fe (লোহা) ,Sn(টিন) ,Pb (সিসা) ও Cu (তামা) এই সব ধাতুগুলিকে কার্বনবিজারণ পদ্ধতিতে নিষ্কাশন করা হয় । কারণ এই সব অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় ধাতুগুলির অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রবণতার থেকে কার্বনের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রবণতা বেশি । তাই কার্বন বিজারন পদ্ধতিতে কার্বন ধাতুর অক্সাইডকে বিজারিত করে ধাতুতে পরিণত করে এবং কার্বন জারিত হয়ে কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস রূপে নির্গত হয় ।
MO(যেকোনো ধাতুর অক্সাইড)+C(কার্বন) → M (নিস্কাশিত ধাতু) + CO(কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস)
কার্বন বিজারণ পদ্ধতির সুবিধাঃ
(i) এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত কোক সহজলভ্য ও সস্তা ।
(ii) এই পদ্ধতিতে একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ আকরিককে ব্যবহার করা যায় ।
(iii) বিজারণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন CO বিজারক হিসাবে কাজ করে ।
কার্বন বিজারণ পদ্ধতির অসুবিধাঃ
(i) উচ্চ উষ্ণতার প্রয়োজন হয় ।
(ii) কোনো কোনো ধাতু (Ca,Al) উচ্চ উষ্ণতায় কার্বনের সঙ্গে বিক্রিয়ায় কার্বাইড যৌগ গঠন করে ।
(iii) সক্রিয় শ্রেণীর উপরের দিকে অবস্থিত (Na,K,Ca , প্রভৃতি) ধাতুগুলিকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতি দ্বারা নিষ্কাশন করা যায় না ।