পর্যায় ও শ্রেণি বরাবর আয়োনাইজেশন শক্তির পরিবর্তন – কোনো পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডানদিকে গেলে এবং শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে নীচে নামলে আয়োনাইজেশন শক্তির কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ?
পর্যায় ও শ্রেণি বরাবর আয়োনাইজেশন শক্তির পরিবর্তন – কোনো পর্যায়ের বাম দিক থেকে ডানদিকে গেলে এবং শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে নীচে নামলে আয়োনাইজেশন শক্তির কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ?
পর্যায় বরাবর আয়োনাইজেশন শক্তির পরিবর্তনঃ পর্যায়সারণির কোনো পর্যায়ের বামদিক থেকে ডানদিকে যত যাওয়া যায় তত আয়োনাইজেশন শক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে । কারণ- পর্যায় বরাবর বামদিক থেকে ডানদিকে গেলে পরমাণু ক্রমাক বাড়তে থাকে ফলে নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক আধান বাড়তে থাকে । কিন্তু পর্যায় সংখ্যা স্থির থাকার কারণে মুখ্যশক্তিস্তরের সংখ্যাও নির্দিষ্ট থাকে । ফলে, ইলেকট্রনগুলিও শেষ মুখ্য শক্তিস্তরে প্রবেশ করতে থাকে ।সেই কারণে নিউক্লিয়াস ও সর্ববহিস্থ কক্ষের ইলেকট্রনগুলির মধ্যে আকর্ষণ বল প্রবলতর হয় । তাই সর্ববহিস্থ কক্ষ থেকে ইলেকট্রনকে অপসারিত করতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় ।অর্থাৎ, আয়োনাইজেশন শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
উদাহরণঃ- Li < Be < B < C < N < O < F < Ne (দ্বিতীয় পর্যায় )
শ্রেণি বরাবর আয়োনাইজেশন শক্তির পরিবর্তনঃ পর্যায়সারণির কোনো শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে যত নীচে যাওয়া যায় তত আয়োনাইজেশন শক্তি হ্রাস পায় । কারণ – শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে নীচে আসতে থাকলে মৌলের পরমানুক্রমাঙ্ক বাড়ার সাথে সাথে পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ধনাত্মক আধান বাড়তে থাকলেও নতুন মুখ্য শক্তিস্তরের সংযোজন হয় । ফলে পরমাণুর নিউকিয়াস থেকে সর্ববহিস্থ কক্ষের দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে ও বহিস্থ কক্ষে উপস্থিত ইলেকট্রনগুলির ওপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণবল হ্রাস পেতে থাকে । এই জন্য সর্বহিস্থ কক্ষ থেকে ইলেকট্রন অপসারণ করতে কম শক্তির প্রয়োজন হয় ।অর্থাৎ , পর্যায়সারণির কোনো শ্রেণি বরাবর ওপর থেকে যত নীচে যাওয়া যায় আয়োনাইজেশন শক্তি কমতে থাকে ।
উদাহরণঃ Li > Na > K > Rb > Cs ( 1 নং শ্রেণি )