পর্যায় সারণির পর্যায় বরাবর বাঁদিক থেকে ডানদিকে গেলে মৌলের তড়িৎঋণাত্মকতা কিভাবে পরিবর্তিত হয় ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আগে জানতে হবে ।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা কি ?
উত্তরঃ কোনো যৌগের অণুতে সমযোজী বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ থাকা অবস্থায় কোনো মৌলের একটি পরমাণুর বন্ধন সৃষ্টিকারী ইলেকট্রন জোড়কে নিজের দিকে আকর্ষন করার ক্ষমতা বা প্রবনতাকে ঐ মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে ।
মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ?
উত্তরঃ মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা নির্ভর করে প্রধানত দুটি বিষয়ের ওপর –
(i) পরমাণুর আকারঃ পরমাণুর আকার যত ছোট হবে , তড়িৎ ঋণাত্মকতা তত বেশি হবে । কারণ- পরমাণুর আকার ছোট হলে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও সর্ববহিস্থ কক্ষের মধ্যে দূরত্ব কম হয় । ফলে, নিউক্লিয়াসের সর্ববহিস্থ কক্ষের ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার প্রবণতা বাড়ে এবং তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে ।
(ii) নিউক্লিয়াসের আধানঃপরমাণু মধ্যস্থ কক্ষের সংখ্যা একই থাকলে নিউক্লিয়াসের আধান যত বাড়বে পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতা তত বৃদ্ধি পাবে । কারণ- নিউক্লিয়াসের আধান বেশি হলে ইলেকট্রনগুলি বেশি মাত্রায় আকর্ষিত হয় ।
পর্যায় সারণির পর্যায় বরাবর বাঁদিক থেকে ডানদিকে গেলে মৌলের তড়িৎঋণাত্মকতা কিভাবে পরিবর্তিত হয় ?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে পর্যায় বরাবর যত বামদিক থেকে ডানদিকে যাওয়া যায় তত পরমাণুর তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে । কারণ- পর্যায় বরাবর বামদিক থেকে ডানদিকে গেলে পরমাণুক্রমাঙ্ক তথা নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক আধান বৃদ্ধি পায় এবং পরমাণুর আকার ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে । ফলে , সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ ইলেকট্রন জোড়ের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় । তাই পরমাণুর তড়িৎঋণাত্মকতার মান ক্রমশ বৃদ্ধি পায় । যেমন- দ্বিতীয় পর্যায় বরাবর মৌলগুলির তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধির ক্রম –Li <Be < B <C < N < O <F ।